নিলুফার হক
এইতো কিছুদিন আগেই মার্চের ৮ তারিখ ছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবস। অবশ্যই এটি একটি ভালো উদ্যোগ। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই নারী দিবসের গুরুত্ব কি আদৌ আছে? নারী দের কি আদৌ সবাই সম্মান করে?
নাহ, শুনতে দুঃখজনক হলেও এটাই সত্যি যে আমাদের দেশের মানুষ, বিশেষ করে পুরুষরা নারীদের যথাযথ সম্মান দিতে জানেনা। তাদের এই মানসিকতার সবচাইতে বড় কারন হলো ধর্মগুরুরা।
হ্যাঁ, সত্যিই বলছি। বিশেষ করে আমাদের ইসলাম ধর্মের মোল্লারা তাদের ওয়াজ মাহফিলগুলোতে মহিলাদের নিয়ে সব সময়ই কটু বক্তব্য রাখে। তাদের সব সময়ই বলতে শোনা যায় যে, নারীদের বিশ্বাস করা যাবেনা, তাদেরকে কথা বলতে দেওয়া যাবে না, তাদেরকে পড়ালেখা করতে দেওয়া যাবেনা ইত্যাদি ইত্যাদি!
কিন্তু তারা কোনভাবেই এটা মনে রাখেনা যে, তাদের জন্মও কোন না কোন নারীর গর্ভেই হয়েছিল! তাঁরাও শিশুকালে এই নারীর বুকের দুধ খেয়েই জীবনযাপন করেছিল! কিন্তু তাঁরা এসব বেমালুম ভুলে গিয়ে নারীদের নিয়ে যাচ্ছেতাই বকে ওয়াজ মাহফিলগুলোতে।
তাঁরা ওয়াজ মাহফিল ও বিভিন্ন ইসলামিক বক্তৃতায় এটাই বলে যান যে নারীদের যেকোনভাবেই হোক কন্ট্রোল করতে হবে! তাদেরকে ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করে, এমনকি নারীরা ধর্ষিত হলেও এই নারীদেরই দোষ দিবে!
যে নারীরা সৃষ্টির উৎস তাদেরকেই কতো না অবহেলা করা হয় আমাদের দেশে! এই মোল্লাদের আজেবাজে বক্তব্য শুনে সাধারণ জনতা হয়ে উঠে উগ্র। তাদের এসমস্ত নারীদের অপমানসূচক বক্তব্যের প্রতিবাদ তো দুরে থাক বরঞ্চ আরও উদ্বুদ্ধ হয় নারী নির্যাতন করতে, তাদেরকে অবদলিত করে রাখতে।
দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের দেশের মোল্লারা নারীদের নিয়ে আজেবাজে বক্তব্য রেখে যাচ্ছে বিভিন্ন ওয়াজমাহফিল সহ ইসলামি অনুষ্ঠানে। তাদের জোরপূর্বক বোরখা নামের একটি আলখাল্লায় মুড়িয়ে ঢেকে রাখতে চায়। কিসের এতো ভয় বলুন তো? এই মোল্লারা নারীদের এতো ভয় পায় কেন? তাদেরকে কেন বন্দি করে রাখতে চায়?
আমাদের দেশে নারীরা প্রকৃত স্বাধীনতা পাবে যখন এইসব মোল্লাদের নারীদের নিয়ে এসমস্ত আজেবাজে বক্তব্য ও কটু কথা বলা বন্ধ করানো হবে। আমি তো বলি, এই মোল্লাদের ব্যান করা হোক!