শয়তানের হাত ধরে যে ধর্মের সৃষ্টি

এমডি সাইফুর রহমান

আবু হুরায়রা সূত্রে বর্ণিত, মোহাম্মদ বলেন, ‘যখন রমজান উপস্থিত হয় তখন জাহান্নামের সব দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় আর শয়তানদের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা হয় । (মুসলিম, হাদিস : ১০৭৯) ।
এই রকম অনেক অনেক আজেবাজে ভিত্তিহীন কথাবর্তার আরেক নাম হাদীস । তাহলে লজিক্যালি চিন্তা করলে এটা বলা যায় যে- যিনি শয়তান ছাড়তে পারে আবার শয়তান বন্ধী করে রাখতে পারে সেই লোকের হাতে শয়তানের কন্ট্রোল নিশ্চয়ই আছে ? খুব স্বাভাবিক না ব্যাপারটা ?
এখন প্রশ্ন হলো শয়তানের কাজ কি ?

সূরা আল বাক্বারাহ্ এর মতে—” শয়তান তোমাদেরকে অভাবের ভয় দেখায়, আর তোমাদেরকে অশ্লীল কাজ করার তাগদা
দেয়। কিন্তু আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর পক্ষ থেকে ক্ষমা এবং প্রাচুর্যের নিশ্চয়তা দেন। আল্লাহ তো সবকিছু ঘিরে আছেন, তিনি সব জানেন”

তাহলে মূল ব্যাপারটা কি দাঁড়াইলো ? যে লোক শয়তান ছাড়েন আর যে লোকটা শয়তান বন্ধী করে রাখেন সেই লোকই আবার শয়তানের সহায়তায় খারাপ কাজ করা মুসলমানকে ক্ষমা করার ঘোষণা দিয়ে মুসলমানদের কাছে নিজেকে অনেক বড় ক্ষমাশীল রিপ্রেজেন্ট করে । ব্যাপারটা হাস্যকর মনে হলেও মূলত এভাবেই মুসলিম বিশ্বের কাছে আল্লাহ্ নিজেকে গাফুরুন অর্থাৎ আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল হিসেবে পরিচয় দেন । তাহলে নির্দ্বিধায় কি এটা বলা যায় যে, আল্লাহ্ শয়তানের প্রতিপালকও বটে যার হাতে শয়তানের সমস্ত কন্ট্রোল বিদ্যমান । মূলত উনিই শয়তান । আর পৃথিবীতে এই শয়তানের একটা হেড কোয়ার্টার ছিলো, ঐ হেড কোয়ার্টারে একজন এমডিও ছিলো । হেড কোয়ার্টারের সদর-দপ্তর ছিলো মক্কা । আশা করি এতক্ষনে বুঝে গেছেন কার কথা বলতেছি । হ্যা, মুহাম্মদের কথা বলছি । যে কিনা বিজ্ঞানকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মাধ্যাকর্ষণ বল বা Gravity কে হার মানিয়ে ঘোড়ায় চড়ে উড়ে উড়ে গিয়ে বড় শয়তানের সাথে সাক্ষাৎ করেছিল । সাক্ষাতের পর এসে মক্কার মানুষকে বলে বেড়াইতেছিল সে আল্লাহর সাথে দেখা করে আসছে ।
অথচ বি আর মক্কার অশিক্ষিত মূর্খ মানুষরা সেটা বিশ্বাস করে তার কথা মত চলতে লাগলো । আর এভাবেই কল্পিত এক শয়তানের হাত ধরে পৃথিবীতে ইসলাম নামক একটা ধর্মের আবির্ভাব হয় ।